চর্বি শরীরের জন্য ভালো নাকি খারাপ এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কিছু চর্বি শরীরের জন্য ভালো। হার্টের জন্য ভালো অসম্পৃক্ত চর্বি দিয়ে রান্না খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হয়। তাই ঘি দিয়ে রান্না খাবার কেবল পুষ্টি সম্মতই নয়, এর রয়েছে অনেক উপকারিতা- রান্নায় তেল বা মাখনের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান ঘি ব্যবহার করতে পারেন।
ঘিতে অস্বাস্থ্যকর উপাদান, পরিশোধিত চর্বি নেই। এটি প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। ঠাণ্ডা, সর্দি ও কাশি দূর করে- শীতকাল এলেই অনেকের ঠাণ্ডা লেগে যায়, সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে থাকে দিনের পর দিন। বন্ধ নাক খোলার জন্য আয়ুর্বেদে ঘি ব্যবহার করার কথা বলা আছে। ঘি খাওয়া তো বটেই, বরং কয়েক ফোঁটা কুসুম গরম ঘি নাকে দেওয়া যেতে পারে। তবে তা করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া ভালো।
ক্যানসার এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে:
ঘিয়ে রয়েছে কনজাগাটেড লাইনোলেইক এসিড (সিএলএ) উপাদান। এটি ক্যানসার প্রতিরোধী এবং হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে বিশেষ করে কার্ডিভাসকুলার রোগ।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো:
ঘিয়ে থাকা উচ্চমাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে। স্ট্রোক, ব্লক এবং হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ রোগ প্রতিরোধ করে।
প্রদাহ প্রতিরোধী:
এতে ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে, যা প্রদাহ প্রতিরোধী। এতে থাকা অ্যান্টিভাইরাল উপাদান হজম স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো:
যুগ যুগ ধরে ত্বক এবং চুলের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ঘি। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড শুষ্ক চুল এবং ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে।
যদিও ঘিয়ের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ঘি খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। দৈনিক ২-৩ চামচের বেশি ঘি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।